প্রকাশিত: Tue, Jul 18, 2023 11:21 PM
আপডেট: Sun, May 12, 2024 11:57 PM

[১]যশোর কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরেই রাখা হচ্ছে তার প্রেসটি

মাজহারুল মিচেল: [২] গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

[৩] জাতীয় জাদুঘরের সংরক্ষণ ও রসায়নাগার বিভাগের কীপার (চলতি দায়িত্ব) মো. আকছারুজ্জামান নুরী আমাদের নতুন সময়কে জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এখানে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এর আগে এর সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য দু/তিন দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

[৪] জাতিতত্ত্ব ও অলংকরণ শিল্পকলা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গত সোমবার তার পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে নানান সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

[৫] তিনি জানান, জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বত্ত্ব হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতি গীতা মজুমদার। আর জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

[৬] চুক্তিপত্রে ১ নাম্বার সাক্ষীর সাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন। প্রেসটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতিজাদুঘরে নিয়ে আসা হবে।

[৭] কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার জানান, ২০ লাখ টাকার চেক ও পরিবারের দুই সদস্যের চাকুরি দেওয়ার শর্তে তার মা প্রেসটি হস্তান্তরের চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেছেন। চেকটি তারা হাতে পেয়েছেন। এই বিনিময়ে তিনি খুব খুশি।

[৮] কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে স্মৃতিজাদুঘরটি চালু হলেও প্রেসটি এখনো কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায়।

[৯] দর্শনার্থীরা এসেই আগে প্রেসটি দেখতে চান। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কয়েকটি শর্তে ঐতিহাসিক স্বত্ত্বটি হস্তান্তর করছেন বংশধরেরা। অচিরেই জাদুঘরে দর্শনার্থীরা প্রেসটি দেখতে পাবেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না